বগুড়ার শেরপুরের কুসুম্বি ইউনিয়নে নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে তামিম হোসেন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত কিশোরের দক্ষিণ আমইন গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। সে কেল্লাপোষীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। জানা যায়, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনি প্রথমিকভাবে ধারনা করা করছে তামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, শেরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন ও শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিশোর তামিম বাড়িতে মা আর দাদির সাথে থাকত। গতকাল বুধবার সকালে অসুস্থ মায়ের জন্য পানি আনতে ঘর থেকে বের হয় তামিম। এরপর বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিও করা হয়। সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাত ৮টার দিকে শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে স্থানীয়রা বস্তা ভাসতে দেখে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে বস্তা খুলে ভেতরে তামিমে লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
তামিমের বাবা মুকুল হোসেন বলেন, ‘ছেলে নিখোঁজের খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে রাতেই বাসায় আসি। সকালে ছেলেকে খুঁজতে বের হই। সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় মান্নান আমাকে তাদের পুকুরে একটি বস্তা ভেসে থাকার খবর জানালে বস্তা খুলে আমার ছেলের লাশ দেখতে পাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।