বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে ঢাকা-রাজশাহীগামী তিনটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করলে এমন বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয় বলে জানান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাংলাবান্ধা ট্রেনটি হরিয়ানাতে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এছাড়াও বনলতা ট্রেনটিও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসছে। আন্দোলনের কারণে সেটিও হরিয়ানায় এসে অপেক্ষমাণ থাকবে। এছাড়াও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধুমকেতু ট্রেনটির শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে। আর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীর লোকাল ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে অপেক্ষমাণ রয়েছে, আন্দোলনের কারণে ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ঢাকাগামী ধুমকেতু ট্রেনটি আজ রাত ১১.২০ মিনিটে আবার রাজশাহী স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন না থামালে তো সেটি সম্ভব হচ্ছে না। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ না ছাড়লে ট্রেনের চরম শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে বলে জানান তিনি। এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের কোটা সংস্কারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন থেকে তারা উঠবে না। মুশলধারে বৃষ্টি আসলেও রেললাইন অবরোধ থেকে তারা সরবে না বলে জানান।
‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ এমনসব স্লোগানে রেললাইন উত্তপ্ত করে তুলেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভাইদের কি দোষ ছিলো। আমরা শুধু আমাদের যৌক্তিক অধিকার নিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আজকে পুলিশ আমার ভাইদের শরীর থেকে রক্ত ঝড়িয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা উঠবো না। কোটা সংস্কারের দাবিতে সরকার যে প্রহসন শুরু করেছে তা বন্ধ করে অতিদ্রুত আপিল বিভাগ শিক্ষার্থীদের পক্ষে যৌক্তিক রায় দিতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হলে কোনো শিক্ষার্থী ঘরে ফিরবে না।’