পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় নারী রোগীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময় যৌন হয়রানির অভিযোগে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক চিকিৎসক ও মালিককে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া থানাপাড়া মহল্লার মৃত সুবোধ কুমার সরকারের ছেলে ডা. শোভন সরকার (২৮) ও নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শালগাড়িয়া ইংলিশ রোড মহল্লার মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এসময় তাদের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পাবনা সদর থানার পাশে অবস্থিত নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের আটক করে পাবনা সদর থানা পুলিশ। পরে ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য যান। ওই নারীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে নারী সহকারীকে দিয়ে তলপেটে জেল মেখে প্রস্তুত করা হয়। এসময় কৌশলে ওই নারী সহকারীকে বাহিরে পাঠিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক শোভন সরকার রোগীর যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে যৌন উত্তেজনা মুলক কথাবার্তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাহিরে এসে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসময় রোগী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি ধামকি দেন ক্লিনিক মালিক জীবন ও তার লোকজন। পরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দুজনকে ক্লিনিক থেকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।