বগুড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় কমপক্ষে আহত ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, অলোক সরকার (৪০), আতশী রানী (৪০), রঞ্জিতা মোহন্ত (৬০), নরেশ মোহন্ত (৬৫) এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর ১০–১৫ মিনিটের মধ্যেই রথের সঙ্গে সড়কের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেউজগাড়ি শ্রীশ্রী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রাটি পুলিশ লাইনসসংলগ্ন শিবমন্দির অভিমুখে রওনা করেছিল।
জানা গেছে, সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা বের হয় বিকেল ৫টায়। ১০ মিনিট পথ অতিক্রম করার পর সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় স্টেশন সড়কে রথের চূড়াটি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। এতে আগুন ধরে যায়।
আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিলে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ সময় রথের ওপরে বসে থাকা এবং নিচে থাকা অন্তত অর্ধশত আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, রথযাত্রার সময় রথের চূড়াটি বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে চারজন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন মারা যান।
বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ এরশাদুল বারী এরশাদ জানান, নিহত কেউ সেউজগাড়ীর কোনো বাসিন্দা নন বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি। তাদের বাড়ির ঠিকানা জানতে পারিনি।