সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিকট যমুনা নদীর পানি সামান্য কমে শনিবার বিকেল ৩টায় বিপদ সীমার ৫৮ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে । স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৮ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল । পরের দিন শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১ সেঃমিঃ কমে বিপদ সীমার ৫৮ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার তারিফুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় শনিবার পর্যন্ত উপজেলার হাটশেরপুর, চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, কামালপুর, চন্দনবাইশা, কুতুবপুর, সারিয়াকান্দি সদর,নারচী,ফুলবাড়ী, ও ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন এবং সারিয়াকান্দি পৌরসভার এলাকাসহ ৮২টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে । বন্যা কবলিত এলাকার ১৭ হাজার ২৫০টি পরিবারের ৬৮ হাজার ৪শ’ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ৬হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর ফসলী জমি বন্যার পানিতে আক্রন্ত হওয়ায় ৮ হাজার ১শ’ ৪০টি কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ৯০ টি পরিবারের ঘরবাড়ী সম্পূর্ন এবং ১৯০টি পরিবারে ঘরবাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৬টি ইউনিয়নের যমুনার চরাঞ্চলে ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ৪৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে । বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে ।
অপর দিকে বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার দুপুুরে চন্দনবাইশা ও কামালপুর ইউনিয়নের বন্যার্ত ১৯০ টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী । এসসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ) মোতাহার হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলী সার্কেল নিয়াজ মেহেদী, সারিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) দুরুল হুদা, চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল, চন্দনবাইশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদন নবী হিরো প্রমুখ ।