পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগরে আওয়ামী লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাসকে হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে আসামি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরের দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের চিনাখড়া বাজারে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ, অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুজানগর পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, দুলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব নির্বাচনে জয়ী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের উপরে নানাভাবে হামলা মামলা দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। নির্বাচন পরবর্তী উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের জড়িত থাকার বিষয়কে ধামাচাপা দিতে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। তাই এই মিথ্যা মামলা থেকে শাহীনের নাম দ্রুত প্রত্যাহার করে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে কর্মসূচি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগ বানোয়াট ছাড়া কিছু নয়। বরং নির্বাচনের পর থেকে শাহীনের লোকজন একের পর এক হামলা ভাঙচুর চালিয়ে আমার সমর্থকদের মারধর করছে। তার লোকজনের হামলায় আ.লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাস মারা গেছে। সেই মামলায় যদি শাহীন আসামী হয় আমার কি করার আছে। এটি মামলার বাদির বিষয়।’
উল্লেখ্য, বিগত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারই জেরে গত ২১ জুন উপজেলার রানীনগর এলাকায় ওহাব ও শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আল আমিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় জের ধরে ওইদিন রাতেই শাহীন গ্রুপের লোকজন আব্দুল ওহাব গ্রুপের সমর্থক মোজাহার বিশ্বাসকে এলোপাথারী কোপায়। পরে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ জুন মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মোজাহার বিশ্বাসের ছোট ভাই জামাল বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ৩০ জুন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন কে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭, জিআর ১২২/২৪।