বগুড়ার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা দিলে শিশুসহ দু’জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কাভার্ডভ্যানে থাকা আরো দু’জন। রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা কৈগাড়ি মোজাদ্দেদিয়া সিদ্দিকীয়া খানকা শরীফ ও মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের হেলপার কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং কাভার্ডভ্যানের চালক বেলাল হোসেনের শিশুপুত্র বায়েজিদ (৩)। জানা গেছে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাভার্ডভ্যান নাটোর থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। এর কেবিনে ড্রাইভারের পাশের আসনে যাত্রী ছিলেন প্রাণ-আরএফএল কাভার্ডভ্যানের হেলপার শহিদুল ইসলাম (৩৫), চালক বেলাল হোসেন, তার স্ত্রী সাথী খাতুন ও শিশুপুত্র বায়েজিদ।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রনবাঘা এলাকায় মহাসড়কের পাশে একটি ট্রাক দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। পেছনে থেকে একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-অ ১১-৩৮১৮) ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হেলপার শহিদুল ইসলাম মারা যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বায়েজিদ নামের শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আহত অবস্থায় বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী সাথী খাতুন (২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরো জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকটি পালিয়ে যায় । কাভার্ডভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। লাশ শজিমেক হাসপাতলের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে।