বগুড়া সদরের আইএফআইসি ব্যাংকের মটিডালী উপ-শাখায় সিন্দুক ভেঙে চুরি হওয়া ২৯ লক্ষাধিক টাকার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৪০ টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে লুট করা টাকায় কেনা মোটরসাইকেল এবং সিন্দুক ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত একটি লোহার তৈরি টায়ার লিভার। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলাম ছেলে পাভেল, আদমদিঘী উপজেলার ভালশন কুন্ডুপাড়ার মৃত বিপুল চন্দ্র সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার মিথুন ওরফে মিঠু (২৮), গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া গ্রামের মৃত ফুল কিশোর রাজভরের ছেলে বিমল রাজভর (৩০) ও বগুড়া সদরের বড় টেংড়া হারবালা আদর্শ গ্রামের মৃত ফারাজ মুন্সির ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৯)।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১২ জুন রাতে বগুড়া মাটিডালী আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-শাখা থেকে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা চুরি হয়। সিন্দুক ভেঙে এ অর্থ নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৩ জুন রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৩ জুন প্রথমে পাভেলকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহিদুলসহ অন্যরা গ্রেফতার হয়।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া টাকার মধ্যে অভিযুক্ত পাভেলের বসতবাড়ি হতে ১ লাখ ১ হাজার ৪৭০ টাকা, বিমল রাজভরের শশুর বাড়ি হতে ২ লাখ ৯৩ হাজার ২২০ টাকা, অভিযুক্ত বিপ্লব সরকার মিথুন ওরফে মিতুর বাড়ি হতে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা এবং অভিযুক্ত জাহিদুল দুল ইসলামের বাড়ি হতে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। সেইসাথে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের কাছে থাকা চুরির অর্থ দিয়ে কেনা একটি লাল রংয়ের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তিনি মোটর সাইকেলটি ১ লাখ টাকায় কিনেছিলেন। পরে জাহিদুল ইসলামকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের পর চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি লোহার তৈরি টায়ার লিভার (সিন্দুক ও তালা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়। টায়ার লিভারটি মাটিডালী বিমান মোড, খান কমপ্লেক্স (২য় তলায় আইএফআইসি ব্যাংক পি.এলসি, উপ-শাখার ভবনের পেছনের জঙ্গল হতে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল পেশাদার চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম।