মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে চাঁদা না দেয়ায় মোঃ সনি রেজা (৩৫), নামের এক যুবকের গলায় ছুৃরি চালিয়ে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। আহত মোঃ সনি রেজা, সে বোয়ালিয়া মডেল থানার রাজারহাতা এলাকার মোঃ আনসার আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় আহত যুবকের মা মোসাঃ সাহানা বেগম (৫০) বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ রাসেল আলী সম্্রাট (৩৫), মোঃ ফয়সাল (৩২), মোঃ জুয়েল রাজা (৩৯), তাদের পিতার নাম মোঃ আরমান আলী ও মোঃ রমজান আলী (৩৩), সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী ৪নং গলির মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, গত (১৬ জুন) বিকাল ৬টায় মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরের এক কর্ণারে আহত মোঃ সনি রেজা ও তার বন্ধু মোঃ ভোলা (৩৫) মোঃ আব্দুর রশিদ শিউল (৩৫), সকলে মিলে একটি ভ্রাম্যমান শরবতের দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলো। ওই সময় আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তারা চাঁদা দিতে রাজি না হলে আসামী রাসেল আলী সম্্রাট হত্যার উদ্দেশ্যে সনি রেজাকে গলার চাকু দ্বারা বাম পাশে কোপ মেরে গভীর কাটা জখম করে। এছাড়াও ইট দ্বারা মাথায় আঘাত করে কপালের উপর সাইডে গুরুত্বর রক্তাক্ত ফাটা জখম করে। একই সময় সনি রেজার বন্ধুদের বাঁশের লাঠি, কাঠের চলা, জিআইপাইপ দ্বারা আঘাত করে এবং এলোপাথাড়ী কিলঘুষি লাথি মেরে আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা সনি-সহ তার বন্ধুদের উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সনিকে (৩৩ নং ওয়ার্ড) সার্জারী বিভাগে ভর্তি করেন এবং তাকে দ্রুত ওটিতে নিয়ে তার গলায় ৬৫টি সেলাই দেন। তার বন্ধুদে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আহত সনি রেজার মায়ের দাবি, তার ছেলে এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়। বোয়লিয়া মডেল থানায় মামলা দিয়েছি। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন করির জানান, সনি রেজা-সহ তার বন্ধুদের আঘাতের বিষয়ে তার মা, বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-২৪, তাং-১৬ জুন ২০২৪। আসামীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তবে আমরা তৎপর রয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।