নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নে রেজি নং রাজ ২৩৮ এর নির্বাচনের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহ সাধারণ সদস্য নিয়ে সাধারণ সভার মাধ্যমে নিবার্চন প্রক্রিয়ার দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ মতে জানা যায়, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের গঠনতন্ত্র না মেনে সাধারণ সভা করছেন না। তারা জানান আগামী ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের চলতি কমিটির মেয়াদ শেষ হবে কিন্তু বর্তমান কমিটিকে একাধিক বার সাধারণ সভা করার জন্য আবেদন করলেও তারা কোন নিবার্চনী প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে করে সাধারণ শ্রমিকের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমান কমিটি কোন সাধারণ সভা না করেও মৃত শ্রমিকের ও বিভিন্ন সদস্যের জাল স্বাক্ষর দেখিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে একটি সাধারণ সভা খাতা কলমে তৈরি করেছেন। বর্তমান কমিটি আমাদের নামে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করার মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। যদি টাকা আত্মসাৎ করতাম তাহলে নির্বাচন ও দায়িত্ব ভার গ্রহনের সময় টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠতো। একারণে অল্প সময়ের মধ্যে গঠনতন্ত্র মতে সাধারণ সভা দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানান তারা। অপরদিকে নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের চলতি কমিটির সভাপতি আজাহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মতিউজ্জান মতি এর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, করোনা কালীন সময়ে বর্তমান কমিটি কোন কাজ করতে পারেননি এই জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বর্তমান কমিটি পূনরায় বহাল রাখার আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ১৩ মাস অতিরিক্ত সময়ের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়া বিগত সাবেক কমিটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাদেরকে বারবার তাগিদ দিলেও তারা টাকা জমা না দিয়ে টালবাহানা করছেন। শ্রমিকের দাবি ও কমিটির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য তারা শ্রম অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে লিখিত একটি আবেদন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার শ্রম অধিদপ্তর, রাজশাহী থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম এসেছিলো। তাদের নিকট আমরা বিস্তারিত তথ্য উপস্থপন করেছি। আশা করি নির্বাচনী জটিলতার সমাধান হবে বলে তারা জানান। উক্ত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা জানান, নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করেছি। আমরা উভয় পক্ষের নিকট বক্তব্য শুনেছি ও কাগজ পত্র জমা নিয়েছি, আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করে জরুলী ভিত্তিত্বে সব ঘটনার নিষ্পত্তি হবে বলে তারা জানান।