মিডিয়ার কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে একেবারেই ব্লাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সকলকে চাপে রাখে।’ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও পুরাতন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সিইসি। এ সময় বক্তব্য রাখেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা এবং নির্বাচন কমিশন সচিব মো: জাহাংগীর আলম।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। মিডিয়ার কারণে আমরা কিন্তু চাপে থাকি। কী বলতে কী বলে ফেলি। কোনটা বলতে হবে, কোনটি গোপন রাখতে হবে। কারণ মিডিয়া তো সব প্রচার করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর থেকে মিডিয়ার ভূমিকাটা অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার আমার সুযোগ হয়েছে। আমরা এমনিও মিডিয়ার সাথে পরিচিত। কারণ ঘুম থেকে উঠেই আমরা পত্রিকা পড়ি। মিডিয়া আমাদের জ্ঞান, মেধা ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে।’
সিইসি বলেন, ‘আপনারা বস্তনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন, পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে। সেটি কেন প্রচার করবেন না? আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা প্রচার করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়। গত কমিটি যে সংবাদগুলো প্রচার করেছেন তা বস্তুনিষ্ঠভাবেই করেছেন। এটি প্রশংসার দাবি রাখে।’
সিইসি বলেন, ‘সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে। এখানে আপনাদের ভূমিকা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়। তাহলে সকলের মাঝে ইতিবাচক হয়। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিডিয়ার কারণে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভূমিকাকে মূল্যায়ন করনে, যদি তারা বিবেকবান হন।’
মো: আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। কারণ আপনারা আপনাদের কাজের জন্য নিজেদের কাছে নিজেরা দায়বদ্ধ।’
বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা কমিশনের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। পাশাপাশি কমিশনের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে তুলেও ধরবেন।’
তবে নির্বাচনের উপর জনগণের নেতিবাচক ধারণা যাতে তৈরি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।