মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে হালকা মেঘ ও কুয়াশা রয়েছে। বয়ে যাচ্ছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে মেঘ ও কুয়াশায় আকাশ ঢাকা থাকলেও সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।
আকাশের মেঘ ও কুয়াশা কেটে গেলে শীত আরও বাড়বে এবং আগামী তিন দিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে এছাড়াও ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত রাজশাহীর আকাশ মেঘলা এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গতকাল রজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.০২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রী সেলষিয়াস।
তীব্র শীতে কাহিল মানুষ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। অনেকে ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে বের হয়ে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন।
শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে পথের ধারে ও খোলা স্থানে ছিন্নমূল মানুষদের খরকুটোয় আগুন জ্বালিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আগুনের পরশে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন হতদরিদ্র মানুষ। হঠাৎ করে আবারও শীত বেড়ে যাওয়ার বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপও।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ কামাল উদ্দিন জানান, রাজশাহীর ওপর দিয়ে মূলত গত ১৬ ডিসেম্বর পর থেকে এই নিয়ে তিনটি মৃদু একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, শীতজনিত কারণে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।