অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সামনে আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার আদর্শের প্রতিপক্ষ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি যাদের দোসর, তারা ষড়যন্ত্রমূলক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। শান্তিপূর্ণ যেকোনো আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার শক্তি-সামর্থ্য আওয়ামী লীগের আছে।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক কঠিন পরিস্থিতিও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে সামনে। আমাদের অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। বিদেশীরা কেন এ ব্যাপারে কথা বলেন। এর মাধ্যমে জাতিকে ছোট করা হয়।
তিনি বলেন, বিদেশীরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী দূতাবাসের যারা কথা বলেন জেনেভা কনভেনশনে যে নিয়ম রয়েছে তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরাই সমাধান করব।
তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধীদলের আন্দোলনের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার এবং ভিশন ২০২১-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে আমাকে কঠিন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আজকের (সোমবার) মধ্যেই আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হবে।’
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই তো ভেবেছিল বিদেশীরাও আশঙ্কা করেছিল যে, ১০ তারিখ মনে হয় এখানে একটা কারবালার রোল পড়ে যাবে। এখানে একটা ধ্বংসলীলা দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা কি হয়েছে? দু’দিন আগে সচিবালয়ে আমি বলেছিলাম, আমাদের আকাশে মেঘ ঘনীভূত হয় আবার এই মেঘ কেটেও যায়।