বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রংপুর সিটি করপোরেশন এবং গাইবান্ধার-৫ আসনের ভোট দেখে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আজ সোমবার জাপার কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। সভায় দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সব উপনির্বাচনেই অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। তবে, ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। রংপুর ও গাইবান্ধায় ভোট সুষ্ঠু না হলে ৫ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত হরে হবে।’
আগামী ১ জানুয়ারি জাপার প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা হয়। রওশন এরশাদপন্থিদের মামলায় জি এম কাদের আদালতের নিষেধাজ্ঞায় দায়িত্ব পালন করতে না পারায় সভায় ছিলেন না। জাপা মহাসচিব সমকালকে বলেছেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কো-চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকার এখতিয়ার একমাত্র চেয়ারম্যানের। তাই সভা নয়, মতবিনিয়ম করা হয়েছে। নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চলমান নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হলে, তবেই উপনির্বাচনে অংশ নেবে জাপা।’
জি এম কাদেরের নিষেধাজ্ঞা আপিল বিভাগেও বহাল থাকলে গত বুধবার রাতে রওশন এরশাদকে জাপা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তাঁর অনুসারীরা। ৪৫ মিনিটের মাথায় তা স্থগিত করা হয়। রওশনপন্থিদের সূত্রের খবর, জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন- এ গুঞ্জনে তড়িঘড়ি রওশনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিরোধীদলীয় নেতার অনুসারীরা দাবি করেছিলেন, জাপার চার কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলামে এবং দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাসরিন জাহান রত্নার সিদ্ধান্তে রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু সোমবারের সভায় তাঁরা সবাই উপস্থিত ছিলেন জি এম কাদেরের কার্যালয়ে। ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসও। বিদশে থাকায় চাঁর প্রেসিডিয়াম সদস্য সভায় ছিলেন না। ছিলেন না ভোটে ব্যস্ত এক প্রেসিডিয়াম সদস্য। সব কো-চেয়ারম্যান এবং বাকি প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সভায় ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে পরিস্কার রওশনের বিপক্ষে জি এম কাদেরের পাল্লা এখনও ভারী। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভোটের প্রচারে জাপা প্রার্থীদের সহায়তায় রংপুর ও গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো হবে।