শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বগুড়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাকে মেধাশুন্য করে মেরুদ- ভেঙে দেওয়া। শুধু যে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েই তারা এটি করেছে তা নয়, বরং পরবর্তীতে জাতির পিতাকে মির্মমভাবে হত্যা এবং তাঁর অবর্তমানে যেন কেউ নেতৃত্ব দিতে না পারে সেইলক্ষ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের এই মানসিকতা এখনো বিদ্যমান। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। একারণে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার-আলবদর ও আলসামসসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এদেশে জামায়াতের ন্যায় উগ্র ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বগুড়া প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বগ্রা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আখতারুজ্জামান ও আরিফ রেহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সমুদ্র হক, ঠা-া আজাদ, মুরশীদ আলম, মোহন আখন্দ, জে এম রউফ, তানসেন আলম তালুকদার, বিধান চন্দ্র সিংহ, গৌরব চন্দ্র দাস, আলমগীর হোসেন, মতিউর রহমান, সঙ্গীত রায় বাপ্পী, আজিজ আহম্মেদ রুবেল, খায়রুল আহসান, রাজু আহম্মেদ, সাবু ইসলাম, কামরুল ইসলাম কমল প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ এবং জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে দিবসের সূচনালগ্ন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসক্লাব সদস্যরা। (খবর বিজ্ঞপ্তির)