আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি ঘোষিত গণমিছিলে ২০ দলীয় জোটভুক্ত ১১টি দল যৌথভাবে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার ২০ দলীয় জোটের ১১ দলের শীর্ষ নেতাদের গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে শীর্ষ নেতারা বলেন, আমরা বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী সরকারের নানা বাধা-বিপত্তি, হয়রানি ও হঠকারিতা উপেক্ষা করে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করতে পারায় বিএনপি নেতৃত্ব এবং দেশের সাহসী আত্মনিবেদিত জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তারা বলেন, যে সরকার বিরোধী দলকে একটি সাধারণ সমাবেশ করতে বাধা দেয় সেই সরকার কিভাবে আশা করে তাদের ক্ষমতায় রেখে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব- এটাই দেশের মানুষের জিজ্ঞাসা! সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব ও আক্রমণাত্মক আচরণ আবারো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে দিল।
১১ দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, গোলাপবাগ মাঠ এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টিতে সবচেয়ে আলোচিত স্থানে পরিণত হয়েছে। অখ্যাত গোলাপবাগ এখন ঐতিহাসিক মর্যাদা লাভ করলো। এই মাঠে স্বৈরাচারের পতন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ থেকে ১০ দফা মুক্তির সনদ ঘোষিত হয়েছে। আমরা এই ১০ দফা দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি ঘোষিত সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতার সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানান। পাশাপাশি চলমান আন্দোলনে নিহত সকল সহযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, এনডিপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের, ন্যাপ ভাষানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগ মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মহিউদ্দিন একরাম ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।