নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠা আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দুদল মাঠে নামবে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত একটায়। ডাচদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে ম্যাচের নায়ক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষেও ম্যাচের মীমাংসা না হওয়ায় টাইব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শট নিতে আসেন ফন ডাইক। বাম প্রান্ত দিয়ে নেয়া তার শট ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম শট নিয়ে গোল করেন মেসি। ডাচদের দ্বিতীয় শটও ফিরিয়ে দেন মার্টিনেজ। পরের শটে গোলও করে তার দল। টাইব্রেকারের স্কোর লাইন তখন ২-০।
নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা, দুদলই পরের শটে গোল করে। চতুর্থ শটটিও সফল হয় ডাচদের। আর্জেন্টিনা পরের শট মিস করে। ফলে আশা বেঁচে থাকে ৩-২ গোলে পিছিয়ে থাকা ডাচদের। কিন্তু লতারো মার্টিনেজ পরের শটে গোল করলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় মেসিদের।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে উঠেছে ব্রাজিলকে হারিয়ে। মেসিদের মতো তারাও জয় পেয়েছে টাইব্রেকারে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে পেনাল্টি শুটআউটে ক্রোয়েশিয়া জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে।
ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের ১১৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল পাচঁবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু পরের মিনিটে তাদের দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে ক্রোয়াটদের বদলি নামা ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেটকোভিচ। ১২০ মিনিট শেষেও দুই দলের গোল সমান থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে জয় তুলে নেয় লুকা মদ্রিচরা।
টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করেন রদ্রিগো। অন্যদিকে প্রথম দুই শটে দলকে এগিয়ে রাখেন লভ্র মাজের ও নিকোলা ভ্লাসিচ। পরের শুটআউটে ব্রাজিলের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখেন ক্যাসেমিরো। তবে লুকা মদ্রিচের শট ঠেকাতে পারেননি অ্যালিসন বেকার। পেদ্রো এসে ফের লড়াইয়ে ফেরান ব্রাজিলকে। কিন্তু অ্যালিসন পারেননি মিসলাভের শট ঠেকাতে। পরের শটে দলকে হতাশ করে মারকুইনস। আর তাতে আসর থেকেই ছিটকে যায় ব্রাজিল।