প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র মানায় না। জিয়াউর রহমান কারফিউতন্ত্র দিয়ে গেছে। আর খালেদা দিয়েছে দুর্নীতিতন্ত্র। বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন। এ সময় তিনি দেশে যাতে আর কেউ কোনো নৈরাজ্য ঘটাতে না পারে পারে সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, সবাই প্রস্তুত থাকবেন। একটা মানুষের ক্ষতি যেনো কেউ করতে না পারে। কেউ আগুন দিয়ে পোড়াতে এলে, যে হাত দিয়ে আগুন দেবে ওই হাতটা ওই আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। আর বসে থাকার সময় নাই। কোনো ক্ষমা নাই। আর তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিল, সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আমি ব্রিটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করবো, তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবো। ব্রিটিশ সরকারকে বলবো যে, তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাকে হ্যান্ডওভার করতে হবে বাংলাদেশের কাছে। দেশে নিয়ে এসে সাজা আমি বাস্তবায়ন করবো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না, এটা পরিষ্কার কথা। ওরা আমাদের উৎখাত করবে? ওরা পকেট থেকে এসেছে আবার পকেটেই থাকবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। আর আমাদের যতগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরকে বলতে হবে তারা কি শান্তিতে থাকতে চায়? নাকি আবার অশান্তিকে জায়গা দিতে চায়। তাদের সিদ্ধান্ত দিতে হবে। জ্বালাও, পোড়াও, হত্যা, খুন, মানিলন্ডারিং এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এর আগে বহু যন্ত্রণা দিয়েছে তারা। আমরা অনেক সহ্য করেছি। আমার কৃষক-শ্রমিক, আমাদের নেতা-কর্মী কারো গায়ে হাত দিলে আর ক্ষমা নাই।
তিনি তারেক রহমানের উদ্দেশে বলেন, এতই নেত্বত্ব দেয়ার শখ দেশের বাইরে পালিয়ে থেকে কেন? ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি সেই সুযোগে ডিজিটালি কথা বলে।
২০০৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলেই তাদেরকে জনগণ ২০০৮ সালে ভোট দেয়নি। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ভোট চুরি করে না, জনগণের ভোট সংরক্ষিত করে। তারা আওয়ামী লীগকে ভোট চুরির অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি।
আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী বিএনপি আমলে নির্যাতন মারধরের শিকার হয়েছে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, যে সমস্ত মিডিয়া এখন বিএনপির কাছে ধর্ণা দিচ্ছে, এত টেলিভিশন, এ তো আমারই দেয়া। আমি যদি উন্মুক্ত করে না দিতাম এত মানুষের চাকরিও হতো না এত মানুষ ব্যবসাও করতে পারতো না।
তিনি বলেন, এই মিডিয়া একটা উল্টা-পাল্টা লিখলেই তো মারতো। তার পরেও এতো আল্লাদ কিসের, এত তেল মারা কিসের?
সূত্র : বাসস