আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ শিশু রহিত রবিদাস দুরন্তপনায় মেতে ওঠার কথা এখন। বয়স মাত্র ৯ বছর। এই বয়সে আর দশটি শিশুর মত খেলাধুলা-পড়াশুনা সহ বন্ধু বান্ধবদের সাথে মেতে থাকার কথা। অথচ এই বয়সে রোগযন্ত্রনা নিয়ে বেড়ে উঠছে সে। জন্মের পর থেকে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে রহিত রবিদাস। অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে উঠেছে তার পেট। বয়স রাড়ার সাথে সাথে তার রোগ বেড়েই চলেছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের চড়কতলা গ্রামে রহিত রবিদাসের বাড়ী। বাবা রানা রবিদাস। মা রিতা রানী রবিদাস। মা রিতা রানী গৃহীনি,আর বাবা রানা রবিদাস উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে একটি কুড়োঘরে লড্রি দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। অভাব অনটনের সংসারে ভাল মানের চিকিৎসা করাতে সক্ষম নয় রহিতের পরিবার। ছেলের এই বিরল রোগের কারনে দুর্বিষহ জীবন পার করছে পরিবারের সকলে। রহিতের রোগযন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। অভাব অনটনের সংসারে অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। বাড়ীতে রেখেছেন রহিতকে। রহিতের মা রিতা রানী জানান,জন্মের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত রহিত। গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ্য করতে পারেননি। অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে অর্থ সংগ্রহ করে কয়েক বার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে রহিতের পেট থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে পানি বের করেছি। রহিতের বাবা রানা রবিদাস জানান,অভাব অনটনের সংসার আমাদের। এত অল্প আয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারছি না। সরকার তো দরিদ্র-অসহায় রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়, যদি আমার এই নিস্পাপ শিশুটির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে হয়তো আর দশটি শিশুর মতো আমার ছেলেটিও সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতো।