দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম রোড এলাকায় অনুমোদন বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণ এবং বিধি মোতাবেক এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের রাস্তার জায়গা না ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেনা বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর ইকবাল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী গত ১২সেপ্টেম্বর প্রতিকার চেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে জানা যায়, আবেদনকারী প্রতিবেশিরাও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অত্র জাহাঙ্গীর আলম রাস্তার মোড়ে মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে জাফর ইকবাল পৌর বিধি ও সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইচ্ছামত জোরপূর্বক বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। সেই সঙ্গে ভবন সংলগ্ন বৈদ্যুতিক তার বাঁশ দ্বারা রাস্তার ওপর ঠেলে দিয়ে ছাদ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে অত্র এলাকার জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা সহ যেকোনো মুহূর্তে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় আংশকা করছেন তারা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার(মূল্যায়ন) গত ১৮সেপ্টেম্বর উক্ত আবেদনের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়রকে নির্দেশ দেন। দুপচাঁচিয়া পৌরসভা ইতিপূর্বে জাফর ইকবালকে বেশ কয়েকবার বিনাঅনুমোদনে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মান না করার জন্য নোটিশ দিলেও উক্ত জাফর ইকবাল কোনোরূপ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবন নির্মানকারী সেনা বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর ইকবালের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, খারিজের জটিলতায় দলিল সম্পাদন না করতে পারায় পৌরসভা থেকে অনুমোদন নেয়া হয়নি। তবে হোল্ডিং নম্বর হয়েছে এবং অন্যান্য কাগজপত্রাদি পৌরসভায় দাখিল করা হয়েছে। পৌরসভা আমাকে ৬মাসের সময় প্রদান করেন। সেই সময়ও এখনও পার হয়নি। অন্য বাসিন্দারা যেভাবে রাস্তার জায়গা ছেড়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন, আমিও সেভাবেই জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মান করছি। দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাফর ইকবাল পৌরসভার কোনো অনুমোদন না নিয়েই বাড়িটি নির্মান করছেন। ইতিপূর্বে নির্মান কাজ বন্ধের জন্য নোটিশ প্রদান করেছি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেন নাই। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদন দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যলায়ের নির্দেশ মোতাবেক আমি গতকাল বুধবার দুপুরে পৌর পরিষদবর্গকে সাথে নিয়ে ওই অবৈধ ভবনটি ভাঙতে যাই। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ভাড়াটিয়াদের অনুরোধে মালমাল সরিয়ে নেয়ার জন্য ৩দিনের সময় দেয়া হয়েছে।