ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সমকালকে বলেন, ‘ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ এফ রহমান ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী আমাদের ওপর রড়-স্ট্যাম্প নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমি ও আমাদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুলসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনের মাথা ফেঁটে গিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগ দেননি। আমরা এখন হাসপাতালের দিকে যাচ্ছি।’
জানা যায়, বিকেল সাড়ে চারটায় উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা ছিলো নবগঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের নেতাদের। সাক্ষাতের জন্য সোয়া চারটার দিকে নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে এফ রহমান হলের কাছে আসার পর হলটির ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্ব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাঠ, রড, স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। কিছুক্ষণ সংঘর্ষের পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে পিছু হটে।
হামলায় ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল। তিনি বলেন, আমরা যারা ছিলাম ১৫-২০ জন সবার ওপর হামলা করা হয়েছে, সবাই আহত।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটির সদস্যরা ভিসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তরুণ চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় এফ রহমান হল এবং জহিরুল হক হলের ভেতর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালায়। এতে আমাদের ২০ জনের মতো কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যে ছাত্র সংগঠনের উচ্চপদস্থ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেটাকে শক্ত হাতে দমন করবে।