নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাবেক প্রধান শিক্ষক ও এক সময়ের তুখোড় রাজনীতিবিদ যাত্রী ছাউনিতে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম মহল্লার মৃত. আয়েত আলী শেখের পুত্র আব্দুর রশিদ শেখ (৯০)। সে কুন্দারহাট ইনছান আলী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক যিনি একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এবং ছিলেন বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও এক সময় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সাতপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সমাজে ছিল তার অসামান্য অবদান এবং ব্যক্তিত্বের সাথে দিয়েছেন সমাজের নেতৃত্ব। এলাকায় ছিল তার যথেষ্ট সুনাম, সম্মান ও খ্যাতি। অঢেল সম্পত্তির মালিক ছিলেন আঃ রশিদ শেখ। কিন্তু সময়ের পপরিক্রমায় স্বর্বস্ব হারিয়ে আঃ রশিদ শেখ ঠাঁই পেয়েছেন কুন্দারহাট যাত্রী ছাউনিতে। সে দীর্ঘ ৮/৯ মাস যাবত কুন্দারহাট যাত্রী ছাউনীতে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন এমনকি তার শারিরীক অবস্থাও একেবারে শোচনীয়। চলাফেরা ঠিকমতো করতে না পারার কারণে প্রসাব-পায়খানা যাত্রী ছাউনির মধ্যেই করেন। এতে যাত্রী ছাউনির বেহাল দশা। যাত্রী ছাউনিতে দূরপাল্লার অপেক্ষারত যাত্রীরাও সেখানে দুঃগন্ধের কারণে ছাউনিতে প্রবেশ করতে পারে না। তাছাড়াও আশেপাশের দোকানীরাসহ পথচারী এবং সাধারণ মানুষ আশপাশে অবস্থান করতে পারে না। তাই এলাকাবাসী জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত অসহায় ব্যাক্তির সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপনের জন্য একটি বাসস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে এই পরিস্থিতির শিকার হন আব্দুর রশিদ শেখ, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।