নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মোবাইল-ইলেকট্রনিক্স দোকানে হামলা করে মানিক উদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীকে মারপিটে গুরুতর আহত করাসহ টাকা ছিনতাই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহার নামীয় আট আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদেরকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ত্রিমহনী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মামলার প্রধান আসামি ওই ইউনিয়নের তৈয়বপুর গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (৩৮) এবং একই গ্রামের সবদুল হোসেনের ছেলে মোজাম হোসেন (৩৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক এটিএম রফিকুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যবসায়ী মানিক উদ্দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাদী হয়ে বেলাল, চককয়ার আব্দুল কুদ্দুসসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় ত্রিমহনী বাজারে মোবাইল-ইলেকট্রনিক্স দোকানে হামলা করে ব্যবসায়ী মানিক ও তার ছোটভাই রনিকে মারপিট করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করলে মাথায় লেগে কেটে যায়। সজোরে লাঠির আঘাতে কান এবং মুখে গুরুতর জখম হলে ব্যবসায়ী অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বড়ভাইকে বাঁচাতে ছোটভাই রনি এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও তার ভাইকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। অন্যদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশের পৃথক অভিযানে নন্দীগ্রাম পৌরসভার বৈলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার ব্রীজ এলাকায় দুই গ্রাম হেরোইনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- কদমা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৭) এবং একই গ্রামের মাহফুজার রহমান মাফুর ছেলে বিপ্লব হোসেন টুটুল (২৫)।