আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাবদাহ ধেয়ে আসছে জার্মানিতে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির কোনো কোনো অঞ্চলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। এই চরম অবস্থায় ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশ। যদিও জার্মানিতে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গড়ে অবস্থান করছে। তবে সোমবারের পর থেকে তা ক্রমান্বয়ে বাড়ার কথা বলা হচ্ছে। জার্মান মিউনিসিপ্যালিটিজ অ্যাসোসিয়েশন বিদ্যমান খরার কারণে জার্মানির বেশ কিছু অঞ্চলে পানির ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচণ্ড গরম ও দাবানলের পর এখন মধ্য ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে দাবদাহ ছড়িয়ে পড়েছে। এই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় কয়েকশ’ ব্যক্তি মারা গেছেন আর গরমের শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গৃহহীনদের জন্য ‘হিট এইড’ নামে একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। এতে অতি গরমে যারা আক্রান্ত, তাদের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গৃহসুবিধা, গোসল ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যও প্রচণ্ড দাবদাহের মুখোমুখি হচ্ছে। লন্ডন ও ম্যানচেস্টার শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চরম তাপমাত্রায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। জার্মানির দ্য জাইট পত্রিকা ‘এই গ্রীষ্মে ইউরোপে আগুন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলেছে, দক্ষিণ ইউরোপে ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, পর্তুগাল ও গ্রিসের বনভূমিগুলোতে দাবানল চলছে। এতে বর্তমান ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এছাড়া দাবানলের খপ্পরে হাজার হাজার অবকাশযাপনকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। লাগাতার গরমে এসব দেশের কৃষিকাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বনভূমিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বহু মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে।