1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে রামেকে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই শিশু-বৃদ্ধ - Uttarkon
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তারেক রহমানের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার: মির্জা ফখরুল ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে: ইসি মাছউদ ১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত তিন শতাধিক বিডিআর সদস্য জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে গাবতলীতে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন, গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশী ইনার হুইল ক্লাব অব বগুড়ার কম্বল বিতরণ সোনাতলায় অগ্নিনির্বাপণে মুজতাহিদ উদ্ভাবিত পদ্ধতির মহড়া বগুড়া ৪-এপিবিএন এর বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ, ক্রিড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত বদলগাছীতে গাঁজার গাছসহ আটক -১

ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে রামেকে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই শিশু-বৃদ্ধ

  • সম্পাদনার সময় : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ১৪২ বার প্রদশিত হয়েছে

রাজশাহীতে বর্ষাকালেও বৃষ্টি নেই বললেই চলে। সেই সাথে সূর্য্য খারাভাবে কিরণ দেয়ায় রোদের তীব্রতাও বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ভ্যাপশা গরমে রাজশাহীর জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর এই তীব্র গরমে বরেন্দ্র অঞ্চলে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। এতে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ভর্তি হওয়া রোগীর অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সূর্য্য সরাসরি বিষুবরেখার উপর অবস্থান করায় এশিয়ার অধিকাংশ দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষার এই মৌসুমে বাংলাদেশেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। ফলে তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করছে। রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় এমনিতেই বৃষ্টিপাত কম হয়। তার মধ্যে সূর্য্য সরাসরি বিষুবরেখায় অবস্থান করায় বৃষ্টির দেখা মিলছেনা রাজশাহীতে। রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে- চলতি মাসের গত ১৭ দিনে হাসপাতালে ১ হাজার ৩৭২ জন রোগী ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে জুলাই মাসের ১ তারিখে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৪৫ জন শিশুসহ ১৩০ জন রোগী ভর্তি ছিলো। ওই দিন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ শিশুসহ ৪৮ জন, ২ জুলাই ১৯ শিশুসহ ৪৫ জন (চিকিৎধীন ছিল ১১৯ জন), ৩ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৪৬ জন (চিকিৎধীন ছিল ১২৮ জন), ৪ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৩০ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১০৭ জন), ৫ জুলাই ২২ শিশুসহ ৫৮ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১১৩ জন), ৬ জুলাই ১১ শিশুসহ ৪৪ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১২৭ জন), ৭ জুলাই ১৪ শিশুসহ ২২ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ১০৬জন), ৮ জুলাই ১৬ শিশুসহ ৪০ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬১ জন), ৯ জুলাই ৩৩ শিশুসহ ৫৭ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭৯ জন), ১০ জুলাই ৫ শিশুসহ ১৫ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬০ জন), ১১ জুলাই ৯ শিশুসহ ১৯ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৪৭ জন), ১২ জুলাই ১৩ শিশুসহ ২৯ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬৬ জন), ১৩ জুলাই ৮ শিশুসহ ২৬ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৮১ জন), ১৪ জুলাই ১২ শিশুসহ ৩১ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭৮ জন), ১৫ জুলাই ৮ শিশুসহ ২৩ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৭০ জন), ১৬ জুলাই ৫ শিশুসহ ২১ জন জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৬৮ জন) এবং গত রবিবার (১৭ জুলাই) ১৪ শিশুসহ ৩২ জন (চিকিৎসাধীন ছিল ৮৭ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত্র শিশুদের আলাদা করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ভর্তি হওয়া শিশুদের কেউ কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দ্রুত ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে না আসায় বেশ কয়েকদিন ধরেই আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েরা হাসপাতালে বেডে কিংবা মেঝেতে অবস্থান করছেন।
ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত মোহনপুর উপজেলার দোবাঘাটা এলাকার নুপুর খাতুন তার ৪ বছরের শিশু লামিয়াকে শিশু ওয়ার্ডের ডায়েরিয়া কর্ণারে ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু ডায়েরিয়া একটু কমে আসলেও বর্তমানে এখন তার শিশু আমাশয়ে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। এমনিভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় রোগীই দ্রুত ডায়েরিয়া থেকে সুস্থ হয়ে উঠছে না।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মোহাইমেনুল হক আতিক বলেন, ‘প্রচন্ড গরমের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়েরিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর অধিকাংশ শিশু রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই ডায়েরিয়া থেকে শিশুরা দ্রুত সুস্থ হয় না। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিশুর সুস্থ হতে সময় লাগছে। তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে চলতি মাসে তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছে। তাছাড়া সূর্য্যের তাপও বেশ তীব্র। এই সময়ে শিশু কিংবা বয়স্কদের ডি-হাইড্রেশন ও সান স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই গরমে সবাইকে নিয়মিত ব্লাড প্রেসার চেক করার পাশাপাশি মাংসের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিয়ে ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত।
এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বিশ^ব্যাপী অধিক পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃস্বরণের ফলে ওজন স্ত্রর ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যার প্রভাব রাজশাহীতেও পড়েছে। এজন্য বর্ষা মৌসুমেও তাপমাত্রা তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থান করছে।  রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চলতি মাসের ১৪ জুলাই সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর পরের দিন ১৫ জুলাই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, গত শনি (১৬ জুলাই) ও রবিবার (১৭ জুলাই) রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে ডায়েরিয়ার প্রকোপ একটু বেড়েছে। জায়গার সংকুলানের কারণে অনেক সময় কোনো রোগ মহামারী আকারে দেখা দিলে আমরা চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের জায়গা দিতে পারি না। তবে ডায়েরিয়া রোগী বর্তমানে যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে চিকিৎসা সেবা দিতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হচ্ছে না। ডায়েরিয়ার প্রকোপ আরো বেড়ে গেলেও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি, চিকিৎসা সেবা প্রদানে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies