জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন বলেছেন, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মিলন পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে তার খুনীরাই। মিলনের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। সেদিনের সেই উত্তাল গণআন্দেলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের এরশাদের পরাজয় ও জনগণের ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছিল। ইতিহাসের চাকা পিছানো যায়না। জাতীকে দাঁড়াতে হবে ৭২ এর মূল সংবিধানের রাজনৈতিক নির্দেশনার উপর। ‘ডা. মিলনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনের পরজয় হলেও গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের ভিত্তিতে আঘাত করছে। এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিরাপদ করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের মধ্যেই শহীদ ডা. মিলন বেঁচে থাকবেন। শনিবার দুপুরে সাতমাথাস্থ দলীয় কার্যালয়ে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম ‘হত্যাবার্ষিকী’ উপলক্ষে বগুড়া জেলা জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলি বলেন। জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড, ইমদাদুল হক ইমদাদ, জেলার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরকার, হেলাল উদ্দিন আঙ্গুর, আব্দুল হাকিম বেগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, আব্দুল লতিফ পশারী ববি, জাসদ নেতা জোবায়ের হোসেন মোল্লা, হারুনার রশিদ, মকবুল হোসেন, শ্রমিক নেতা জহুরুল ইসলাম, আশরাফুল হক আশরাফ প্রমূক। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে শহীদ হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।