বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্মারকলিপিটি গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্মারকলিপি প্রদান পরবর্তী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপিটি আইনমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি ফৌজদারি কার্যবিধির ধারায় কি আছে সেটা নিয়ে এখনি কথা বলছি না। কারণ আজ আপনারা আমার মেহমান। আমিও আপনাদের পরিবারের একজন। এর আগে আইনমন্ত্রীকে দেওয়া দুই পাতার ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটায় আমরা উদ্বিগ্ন। তার জীবন রক্ষার্থে মানবিক দিক বিচেনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা অতীব জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মতে শর্তহীনভাবে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে অথবা বিশেষ আদেশে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি প্রদানের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরি সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার মাহবুবু উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, সমিতির বর্তমান সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।