বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, আমাদের একটিই কথা। আমাদের প্রিয় নেত্রী, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার চিকিৎসায় বাধা সরকারের অনৈতিক। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় বাধা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বন্যপ্রকাশ। চিকিৎসায় বাধা বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার চক্রান্ত। এই চক্রান্ত রোখার জন্য দেশবাসীও জেগে উঠেছে। সুশৃংখলভাবে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার মধ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জন করব। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করব এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব। তিনি বলেন, আইনের যারা ব্যাখ্যা দেয় তারা বেআইনিভাবে ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশের সংবিধান মতে, এই সরকারের আইনগত কোনো ভিত্তি নাই। জনগণ বলে ‘আপনাদের নাকি সরকারে থাকার সুযোগ নাই।’ কারণ আপনারা বেআইনি, আপনার নির্বাচন করে আসেন নাই, জনগণের ভোটে আসেন নাই। সরকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। আজ তাকে মিথ্যা মামলায়, রাজনৈতিক মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, এটা চলতে পারে না। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আর যদি তা না করেন তাহলে এই সরকারকে চরম মাশুল দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার বিকালে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে.এম খায়রুল বাশার পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শহর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বকুল, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা: মামুনুর রশীদ মিঠু, এম.আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, শহীদ উন নবী সালাম, এনামুল কাদির এনাম, মনিরুজ্জামান মনি, পলিন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামিম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়, ডা: আশিক ইকবাল মাহমুদ স্বাধীন, বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ্ব আকরাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম বাবলু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মযনুল হক বকুল, হুমায়ন কবির গেদা, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আহসান হাবিব মমি, সদস্য সচিব আদিল শাহরিয়ার গোর্কি, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ সুজন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা শাওন সহ নেতৃবৃন্দ।