বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছেলেধরা যেমন মুক্তিপণ আদায় করে ঠিক তেমনি আজকে খালেদা জিয়াকে দস্যু ব্যক্তির মতো শেখ হাসিনা আটকে রেখেছেন। রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, জনগণের মনে শঙ্কা যে, আওয়ামী লীগ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো-পয়জনিং করেছে। এর কারণেই তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না। বিদেশে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যদি সেটা বেরিয়ে আসে। খালেদা জিয়া কারাগারে যখন গেলেন তখন তিনি হেঁটে গেছেন। আজকে গুরুতর কেন, অসুস্থতা কেন, আজকে এই গুরুতর অসুস্থতা নিশ্চয়ই কারাগারে দেশনেত্রীকে তিলে তিলে ধ্বংস করার জন্য তারা এটা প্রয়োগ করেছে কি-না এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন, তাকে স্লো-পয়জনিং করেছে কি-না এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনগণের সমর্থন দরকার নেই, ভোটের দরকার নেই। তাদের জবাবদিহিতার দরকার নেই। তারা গোটা জাতির কাছে টাকা আত্মসাৎ করার সুযোগ দিয়েছেন তাদের লোকজনদেরকে। তারা এখন বিদেশে বাড়ি ঘর বানাচ্ছেন, যে কোনো পরিবর্তন হলে তারা চলে যাবেন। টের পাচ্ছেন না কেউ পাশে থাকবে না। এই ধরনের গণবিরোধী মানুষের পাশে কেউ কখনও থাকেনি।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জুলুম নির্যাতন সহ্য করে গেছেন শুধু গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য। তিনি কখনো কি কম নির্যাতন সহ্য করেছেন? সাতবার গৃহবন্দি হয়েছেন, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তারপরও তিনি বিচ্যুত হননি তার কর্তব্য পালন থেকে, তার লক্ষ্য থেকে। এই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। রাজপথে তার অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে গেছেন। এই কারণেই দেশের শত্রুরা মূল টার্গেট করেছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভুলে গেছেন- জনগণের নেত্রীকে দমন করা যায় না। তার যুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখতে পারেন। গোটা দেশের মানুষের কাছে তিনি অস্তিত্ববান, তিনি জীবন্ত, পদ্মা-মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নাম। হেমন্তের ধানের মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার নাম, আপনি হেমন্তের বাতাসকে আটকাবেন কী করে, আপনি পদ্মা-মেঘনার ঢেউকে আটকাবেন কী করে, সেখানে প্রতিনিয়ত বেগম খালেদা জিয়ার নাম। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।