বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অবিসংবাদিত এই নেতা আমাদের সাহস, শক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু ফ্যাসিবাদি সরকার তাকে এখন পর্যন্ত বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। সরকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। আজ তাকে মিথ্যা মামলায়, রাজনৈতিক মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, এটা চলতে পারে না। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে সুচিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। কিন্তু সরকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে; চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে গণঅনশন কর্মসূচীতে সাবেক এমপি লালু বলেন, আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে বন্দি। আজ নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ। কাল ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ দিবসের প্রতিষ্ঠালগ্নের মহাপুরুষ, মহানায়ক যারা তাদের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মেজর জেনারেল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া আজকে বন্দি। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের পূর্বে আমি আবেদন করলাম এই দিবস অসম্পূর্ণ হবে যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অশ্রদ্ধা করি। আর অশ্রদ্ধার নমুনা তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা। চিকিৎসার সুযোগ না দেয়া। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আজকে বড় বাধা আইনের নয়। আজকে বড় বাধা খালেদা জিয়ার জন্য শেখ হাসিনা। তিনি যদি তার কৃতকর্মের জন্য এবং দায় মুক্তির জন্য নেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে বাধা না দিয়ে সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মনে করতে হবে তিনি তার ভবিষ্যতের জন্য কোনো ভালো কাজ করছেন। আর তিনি যদি ভেবে থাকেন খালেদা জিয়া নাই আর কোনো ভয় নাই। খালেদা জিয়ার জীবনে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে শেখ হাসিনা আপনি বোধহয় এক ঘণ্টা বাংলাদেশে ঠিকে থাকতে পারবেন না। এটা বিএনপি লাগবে না। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়বে না। সাবেক এমপি লালু আরো বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আর যদি তা না করেন তাহলে এই সরকারকে চরম মাশুল দিতে হবে। গণঅনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, মাহবুবুর রহমান হারেজ, লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শহর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বকুল, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা: শাহ মোঃ শাহজাহান আলী, আব্দুল মুহিত তালুকদার, আহসানুল হক তৈয়ব জাকির, এম.আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, তৌহিদুল আলম মামুন। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে.এম খায়রুল বাশার ও শেখ তাহা উদ্দিন নাইনের পরিচালনায় গণঅনশন কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ উন নবী সালাম, মীর শাহে আলম, এনামুল কাদির এনাম, মনিরুজ্জামান মনি, পলিন, সাইদুজ্জামান শাকিল, শহিদুল ইসলাম বাবলু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামিম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া এ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম টুকু, আইনজীবী ফোরাম বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. আজগর আলী, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোজাম্মেল হক, এ্যাড. আব্দুল বাছেদ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ্ব আকরাম হোসেন, বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়, বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার মুকুল, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: ইউনুছ আলী, ডা: আশিক ইকবাল মাহমুদ স্বাধীন, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মযনুল হক বকুল, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আহসান হাবিব মমি, সদস্য সচিব আদিল শাহরিয়ার গোর্কি, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ সুজন, সৌরভ, মহিলাদল নেত্রী নাজমা আক্তার, রনি, ছাত্রদল নেতা সন্ধান, রাকিব, রাফিউলসহ নেতৃবৃন্দ। গণঅনশন কর্মসূচি পালন শেষে বিকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশাকে পানি পান করিয়ে গণঅনশন ভঙ্গ করান প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। খবর বিজ্ঞপ্তির।