ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলমালের বিষয়টি সামনে এসেছে। কিশোরগঞ্জে যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। নির্বাচনে যেই দাঁড়াক, জনগণ যাকে ভালো মনে করবে তাকেই ভোট দেবে। জনগণ না চাইলে জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার কি? আর জোর করে জনপ্রতিনিধি হয়ে সেবা করার দরকার কি? এসব করে মানুষের মন জয় করা যায় না। বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কিশোর গ্যাং নির্মূলে অভিভাবকসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। জেলা শহরের কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে ১৪-১৫ বছরের ছেলেরা। তারা স্কুল-কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং করে। দিন দিন শহরের পরিবেশ খারাপ করে দিচ্ছে। এদের বিষয়ে অভিভাবকদের খোঁজ নিতে হবে। তিনি বলেন, তারা কোথায় যায়, কি করে? পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন। তারা প্রতিটি ওয়ার্ডে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে কমিটি করে কাজ করতে পারেন। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজয় শংকর রায়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভুপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সাইফুল হক মোল্লা দুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।