একসময় মালদ্বীপকে বলে কয়ে হারাতো বাংলাদেশ। ৮ গোলে জেতার রেকর্ডও আছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে রাজত্ব করেছে। এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে পারেনি লাল-সবুজের দল। তবে শ্রীলঙ্কায় মহেন্দ্র রাজাপাকসে টুর্নামেন্টে সেই ভুল করেনি বাংলাদেশ। মালদ্বীপকে ২-১ হারিয়েছে জামাল-তপুরা। জামাল ভূইয়া দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান মোহামেদ উমাইর। শেষদিকে গোল করে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।সর্বশেষ ২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ ফুটবলের ফাইনালে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৮ বছর মালদ্বীপের বিপক্ষে এই জয়খরা আজ কাটাল বাংলাদেশ। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে ম্যাচের ১১তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। জাতীয় দলের জার্সিতে এই প্রথম গোলের দেখা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর আগে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে দুটি গোল আছে তার। তবে সেটি ছিল বয়সভিত্তিক দলে। মালদ্বীপের বিপক্ষে এই লড়াই দিয়েই তাই মূল দলের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেলেন ৫৮তম ম্যাচে এসে।যদিও এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে উমাইয়ের গোলে সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। প্রথমার্ধে সমতায় দেখেই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর মালদ্বীপ দাপট দেখানোর চেষ্টা করে। বেশ কয়েকবার বালাদেশের সীমানায় আক্রমণ করে মালদ্বীপ। মায়চের ৮৭ মিনিটে জুয়েল রানাকে নিজেদের সীমানায় ফেলে দেন মালদ্বীপ গোলকিপার আলী নাইজ। শ্রীলঙ্কান রেফারি পেনাল্টি দেন। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করে ৩ পয়েন্ট এনে দেন তপু। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে মারিও লেমসও পেয়ে যান প্রথম জয়। ১৬ নভেম্বর রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।