সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ ৪ নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনাতলার সকল ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাকুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার রহমান টিটু। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৩ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনের পরের দিন দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে সোনাতলা পৌর সদরের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র (বিদ্রোহী প্রার্থী) জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নুর নেতৃত্বে একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির নিয়মিত সদস্য এ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রশীদ সোহেল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জিতু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক উৎপল কর্মকারের উপর হামলা করে। তাদের অতর্কিত হামলায়-ছুিরকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে এ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ অন্য আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সোনাতলা পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু জয়লাভ করেন। বিজয়ী হওয়ার পরপরই বিজয়ের উল্লাস করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন নান্নু। তার নেতৃত্বে স্থানীয় বেশকিছু সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা করে তার অনুগতরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির নিয়মিত সদস্য এ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন উপস্থিত ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকগণ দাম্ভিকতার সাথে ঘোষণা করে বলে- যেখানেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাওয়া যাবে সেখানেই তাদেরকে জখম ও খুন করা হবে। গত ৩ নভেম্বর আনুমানিক বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে এ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন তার দলীয় কর্মী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রশীদ সোহেল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জিতু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক উৎপল কর্মকারসহ বেশ কয়েকজনের উপস্থিতিতে সোনাতলা পৌর এলাকার উপজেলা পরিষদ রোডে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ও এলাকায় শান্তি স্থাপনের জন্য আলাপরত ছিলেন। এ সময় পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু, তার ভাই বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ হীরা আকন্দ, আরেক ভাই সোনাতলা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম মানিক আকন্দ সন্ত্রাসী বাহিনী, দেশীয় অস্ত্র-চাপাতি,রামদা,চাকু, লোহার রড,লাঠি,দেশীয় পিস্তল নিয়ে এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন ও তার সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে ও ছুরিকাঘাত করে। এতে এ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন, মাহমুদুর রশীদ সোহেল, নাহিদ হাসান জিতু,উৎপল কর্মকার গুরুতর আহত হন। তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগেও তারা প্রয়াত জননেতা আব্দুল মান্নান এমপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছিল।
আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড,উপজেল পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌসী রুম্পা, বালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিস্টার, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম খন্দকার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলু আকন্দ,মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, পাকুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক তালুকদার, দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিদা হাসান খান টিটো, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ তালুকদার বাবু।