আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমিকে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন। দেশটির রাজধানী বাগদাদে খাদিমির বাসভবনেই তাকে হত্যায় এই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনটি রাজধানী বাগদাদের গ্রিনজোনে অবস্থিত। তবে সুরক্ষিত এলাকা হলেও বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন দিয়ে হামলার মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এদিকে হামলার পর তিনি অক্ষত আছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন মোস্তফা আল-খাদিমি। অবশ্য সংবাদমাধ্যমগুলো আগে জানিয়েছিল যে, ড্রোন হামলার পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার পর টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মোস্তফা আল-খাদিমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরাকের স্বার্থে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইরাকের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন। বিবৃতিতে এর বেশি কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ইরাকের দু’জন সরকারি কর্মককর্তা জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কমপক্ষে একটি বিস্ফোরণ হয় এবং মোস্তফা আল-খাদিমি নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, মোস্তফা আল-খাদিমির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের ৬ সদস্য বাসভনের বাইরে দায়িত্বপালন করছিলেন এবং ড্রোন হামলায় তারা সবাই আহত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, বাগদাদের ওই গ্রিনজোনে বহুসংখ্যক সরকারি দফতর এবং বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত। এমন সুরক্ষিত এলাকায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। গত বছরের মে মাসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোস্তফা আল-খাদিমি। এর আগে তিনি দেশটির গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরানপন্থি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সমর্থকরা বাগদাদের গ্রিনজোনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেসময় তারা ইরাকের সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিরোধীতা করেন। কারণ সর্বশেষ নির্বাচনে ইরাকি পার্লামেন্টে কিছু ক্ষমতা হারিয়েছেন ইরানপন্থিরা।