করোনায় শুক্রবার বিশ্বে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৫৭ জন। এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬১ জন ব্যক্তি। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এ তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য আগের দিন বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কম হয়েছে। ওই দিন করোনায় বিশ্বে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৬১৪ জন এবং নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৮৭। শুক্রবার করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায়। দৈনিক সংক্রমণেও অবশ্য এ দিন বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের চার্ট বলছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১ হাজার ২২৫ করোনা রোগী। এছাড়া এইদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৬২৬ জন। অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায় শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৯২ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৩৫ জন। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো- জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৮০৬, মৃত্যু ১৭৮), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ২৯, মৃত্যু ১৯৩), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ১৯৩, মৃত্যু ১৯৮) ও ইউক্রেন (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৪৮৮, মৃত্যু ৬৯৬)। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯৭ হাজার ১০৯ জন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ১৮৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৫ হাজার ৯২৪ জন। শুক্রবার অবশ্য বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৮২ জন, তবে এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কম।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৩ জন। ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার ২০৩ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ২৫০ জন। এছাড়া, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪৪ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।