1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বন্ধ গণপরিবহন, বিপাকে সাধারণ মানুষ - Uttarkon
রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬.৭৫ শতাংশ উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার দিনক্ষণ চূরান্ত ফ্যাসিবাদ নির্মূলে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : মির্জা ফখরুল বিদ্যুতের বকেয়ার জন্য বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দিলো আদানি বই ফিরে পাচ্ছে আসল ইতিহাস: পাঠ্যবইয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমান, আছেন ভাসানী-তাজউদ্দীন, থাকছেন সাঈদ-মুগ্ধ ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের আজ মধ্যরাতে উঠছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তুতিতে ব্যস্ত জেলেরা শপথ নিলেন চসিকের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত আজ থেকে পলিথিন বন্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু বগুড়ায় মাহবুব আলী খাঁনের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে পরিবারের দোয়া মাহফিল

তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বন্ধ গণপরিবহন, বিপাকে সাধারণ মানুষ

  • সম্পাদনার সময় : শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ১২৯ বার প্রদশিত হয়েছে

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে সারা দেশে বাস-ট্রাক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি পণ্য পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সেবার কাজে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষা। বাস বন্ধে তারা অনেকেই অটোরিকশা, থ্রি হুইলার ও হিউম্যান হলারে পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ডিজেলচালিত এসব হালকা যানবাহনেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকায় বিআরটিসি’র কিছু বাস ছাড়া যাত্রীবাহী বাস খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। বুধবার সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে পনের টাকা এবং বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি ৫৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কোনো আলোচনা ছাড়াই তেলের দাম একতরফাভাবে বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাবে বলে দাবি করছেন পরিবহন নেতারা। তেলের দাম কমানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে পন্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ধর্মঘটের কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও জেলা পর্যায় থেকে মালিক শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় ঢাকাগামী যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস-ট্রাক-লরি চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে শহরে অটোরিকশা চলাচল করতে দেখেছেন তিনি। বরিশালের শহরের রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে শুক্রবার ভোর থেকে বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। পণ্য পরিবহনের ট্রাক-লরিও কোনো কাজ ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে। রাজশাহী শহর থেকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন প্রায় বন্ধ করে রেখেছে মালিক ও শ্রমিকরা। তবে কিছু ট্রাক শহরে আসলেও শহর থেকে বাস-ট্রাক সব চলাচল বন্ধ আছে।’খুলনা থেকে যে ২২টি রুটে বাস চলাচল করে সেগুলোতেও শুক্রবার ভোর থেকে বাস চলাচল বন্ধ আছে। এছাড়া গাজীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চাঁদপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকা থেকে একই খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সেই দুর্দশার চিত্র। প্রগতি সরণির মেরুল বাড্ডা থেকে বাড্ডা লিঙ্ক রোড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সারি করে রাখা হয়েছিল সদরঘাট-টঙ্গী রুটের বাসগুলো। সড়কের দুই পাশে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা বাড়ছে ক্রমাগত। ট্রাক বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহনে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ময়মনসিংহের ভালুকা, জামালপুরের ইসলামপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জের বেশকয়েকজন ব্যবসায়ী জানালেন, ট্রাক বন্ধ থাকায় তারা সবজি, মাছ কিছুই রাজধানীতে পাঠাতে পারেননি। ভালুকার মাছ ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, ‘হুট করে বাস, ট্রাক সব বন্ধ কইরা ফেলল। অনেকবার রিকোয়েস্ট করছি ট্রাক মালিকদের। পিক আপও একটা রাতে ঠিকঠাক করছিলাম। কিন্তু সে অনেক রাতে ফোন করে বলে যে ঢাকা যাইতে পারবে না। এখন এলাকার বাজারে এই মাছ কম দামে বিক্রি করা লাগবে। আমার বহু টাকা লস হয়ে গেল।’ গত বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকা করেছে সরকার। বাংলাদেশে ব্যবহূত জ্বালানির দুই-তৃতীয়াংশই ডিজেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পরিবহন নয়, কৃষি ও ব্যবসাতেও বিরূপ প্রভাব পড়বে। দাম বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ প্রভাব বৃহস্পতিবার বিকেলেই দেখা দিয়েছে পরিবহন খাতে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বাসের ভাড়া বেড়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ৩৬ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেওয়া হয়। জিগাতলা থেকে রামপুরা রুটের বাসে ১০ বাড়িয়ে ৪০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। দাম বৃদ্ধির কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে পণ্যবাহী যানবাহনের মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে। এসব সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সরকার সমর্থক কিংবা সরকারি দলের পদধারী হলেও সরাসরি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও ধর্মঘটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেছেন, ‘মালিকরা গাড়ি বন্ধ রাখলে শ্রমিকরা কী করে চালাবে?’ তবে পণ্যবাহী সমিতির তুলনায় নমনীয় সরকার সমর্থক বাস মালিকদের সংগঠন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গতকাল দুপুরেই বাস ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন করে চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে। তবে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সমিতিগুলো সরাসরি বাস বন্ধের ডাক দিয়েছে। বাংলামোটরের কার্যালয়ে বাস মালিকদের বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা হয়নি। তেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়ায় দূরপাল্লার প্রতি ট্রিপে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। এতে মালিকদের লোকসান হচ্ছে। লোকসান থেকে বাঁচতে কোনো মালিক যদি বাস চালাতে না চান, তাহলে বন্ধ রাখতে পারবেন।’তবে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ‘বাস বন্ধ করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক থেকেই মালিকরা বাস বন্ধ রাখতে মোবাইল ফোনে নির্দেশ দেন নিজ নিজ পরিবহন কোম্পানিকে। সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেছেন, লোকসান এড়াতে এ ছাড়া উপায় নেই।’রাজধানীতে বাস চলে গ্যাসে; তারপরও কেন বন্ধের সিদ্ধান্ত- এ প্রশ্নে মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় এখন ৮০ শতাংশ বাসই ডিজেলে চলে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সর্বশেষ ২০১৩ সালে দূরপাল্লার বাস ভাড়া বেড়েছিল। ডিজেলের দাম কমায় ২০১৬ সালে ভাড়া কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমিয়ে ১ টাকা ৪২ পয়সা করে সরকার। গত আট বছরে যন্ত্রাংশ, বেতন-ভাতা, ভ্যাট-ট্যাক্সসহ সব দাম বেড়েছে। ২০১৯ সালে বিআরটিএর ব্যয় বিশ্নেষণ কমিটি দূরপাল্লার বাসে কিলোমিটারে ২ টাকা ৭ পয়সা এবং ঢাকা চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ বাসের ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে কিলোমিটারে ২ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল। সরকার সে ভাড়া কার্যকর করেনি। তেলের দাম ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়া আরও বাড়ানো উচিত। ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এ নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী রোববার মালিকদের সঙ্গে বসবেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করবে। তা বিআরটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সরকার অনুমোদন করলে ভাড়া বাড়বে। মালিকরা এ প্রক্রিয়া ছেড়ে বাস বন্ধ করলে জনগণের ভোগান্তি ছাড়া আর কিছু হবে না। পণ্যবাহী পরিবহনের ধর্মঘট প্রসঙ্গে সচিব বলেন, তাদের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে না। মালিক ও পণ্য পরিবহনকারীর চুক্তিতে নির্ধারিত হয়। তাদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান বলেন, মাত্র দু’দিন আগেই সেতুর টোল বেড়েছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে পরিবহন খাতের। এমন সময়ে তেলের দাম এক লাখে ১৫ টাকা বৃদ্ধি জুলুম। তাদের সংগঠনের সারাদেশের ২০০ শাখা ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিজেলের দাম না কমা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies