সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ ৪ জন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে উপজেলা পরিষদ রোডে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা।
মঙ্গলবার পৌর নির্বাচনের দিন একটি ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানীর দুই সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার দুপুরে সোনাতলা রেল স্টেশন রোডে সেই দুই সমর্থকের মুখোমুখি দেখা হলে কথা কাটাকাটির সুত্রপাত হয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে চা পান করছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ স্থানীয় লোকজন। সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারপিট ও ছুরিকাঘাতে আহত হন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জিতু (৩৫)। এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন (৫৩)। একই সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রশীদ সোহেল (৪৩) ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উৎপল কর্মকার (৩৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন। বর্তমানে পুলিশ ফোর্স ও বিজিবির উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে জনগণের মাঝে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, এ মুহুর্তে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মোবাইলে ওসির সাথে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।