স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। আজ রোববার সকালে সিআইডির একটি দল তদন্তের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আজাদ রহমান এ কথা জানিয়েছেন। গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি গায়েব হয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়। ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।
মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো গায়েব হয়েছে, সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা-সম্পর্কিত। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্টের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একাধিক প্রকল্পের নথি গায়েব হয়েছে।