বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে। আর এই ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাতে হলে, বিরোধী মত যারা প্রকাশ করে তাদের যেভাবেই হোক দমিয়ে রাখতে হবে। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সবই ঘটানো হচ্ছে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন : প্রেক্ষিত ২৮ অক্টোবর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোশাররফ বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার যে ঘটনা, বিস্তারিত না বললেও সবাই বোঝে সরকারের প্ররোচনায় এটি একটি গোষ্ঠীকে দিয়ে ঘটানো হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের অবস্থা এমন যে, একটি থানার ওসি একটা জিডি নিতে সাহস পায় না, যদি না আওয়ামী লীগের এমপি-চেয়ারম্যানরা না বলে। সেই কুমিল্লার ওসি কোরআন শরীফকে মিডিয়ার সামনে দেখিয়েছে এবং এটা ভাইরাল করে দিয়েছে। যদি একটা ওসি উপরের থেকে নির্দেশিত না হয়, তবে এই কাজ করতে পারে না। সরকারের প্ররোচনায় এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘জনগণ বুঝতে পারছে এই সরকার থাকলে এখানে কোনো ন্যায়বিচার হবে না। এখানে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না। সাংবাদিকরা কথা বললে তাদের জেল খাটতে হচ্ছে। সাগর-রুনির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা ৮১ বার পিছিয়েছে, তারা মামলার কাগজ প্রস্তুত করতে পারে না। অথচ জামায়াত-বিএনপির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিন দিনে চার্জশিট দিয়ে পঞ্চম দিন থেকে বিচার শুরু করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বোঝানোর কিছু নেই। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে কারা। একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট হচ্ছে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা, আওয়ামী সমর্থিতরা।’ আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।