বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মন্দির ভাংচুরের পরিকল্পনা করা হয়েছে গণভবন থেকে। সারাদেশে হামলার ঘটনায় যারা আটক হয়েছে সব ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মী। সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় এখন পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নির্যাতন করে মিথ্যা নাটক সাজানো হচ্ছে, যা মানুষ বিশ্বাস করে না।
আজ বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, আজকের প্রেক্ষাপট, সাম্প্রদায়িকতার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এই মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ। রিজভী বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রাজপথে নেমে এসেছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের সাম্প্রদায়িক যে ঐক্য, সেই ঐক্য যারা বিনষ্ট করে তারা ষড়যন্ত্রকারী, তারা চক্রান্তকারী, তারা দেশের মঙ্গল চায় না। তিনি বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার ঘটনা, দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা– এটা দুষ্কৃতিকারী ছাড়া অন্য কেউ করতে পারে না। আমাদের দীর্ঘদিনের যে সামাজিক বন্ধন এটা কেন বিনষ্ট করছেন। নিজের ব্যর্থতা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, চালের দাম দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, পেঁয়াজ, মরিচ, ডাল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য স্পর্শ করলেই মনে হয় বৈদ্যুতিক শক করছে। সরকার জনদৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এসব করছে। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে– যারা এই পূজামণ্ডপে আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা সরকারি দলের লোকজন। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়ে সৈকত, ছাত্রলীগ নেতারাও পরিষ্কার করেছেন। সরকারকে বলব, এরপরও কী করে বলবেন আপনারা জড়িত নন?