আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যেকোনো অর্জন বা সাফল্যকে বিতর্কিত করা বিএনপির স্বভাব।’ ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
“ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত হওয়া কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনের গ্রেপ্তারে যখন সবাই স্বস্তি প্রকাশ করছে, তখন বিএনপির মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছেন—‘গ্রেপ্তার হওয়া যুবক এতদিন কোথায় ছিল?’ গ্রেপ্তার করা ইকবালের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যে অনুমান হয় যে, তাঁর কাছে অধিকতর তথ্য রয়েছে। আপনিই তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন—এ কয়দিন ইকবাল কোথায় ছিল?’ ‘আসলে যেকোনো অর্জন বা সাফল্যকে বিতর্কিত করা বিএনপির স্বভাব’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রতিটি বিষয়ে সন্দেহ করার বিরল প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি। এ ছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে জনমনে প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে—বিএনপির এই অতিপ্রতিক্রিয়া বা আগবাড়িয়ে কথা বলা, তাদের নিজেদের অপরাধ লুকোনোর কৌশল কি না।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির দ্বিচারিতা সম্পর্কে দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। তারা চোরকে বলে চুরি কর, আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাক।’ ‘বিএনপি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সবসময় প্রতিপক্ষ ভেবে আসছে’ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছে, আর হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মায়াকান্না করছে।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আপনাদের ভোট না দেওয়ার কথিত অপরাধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলেন কেন? কেন ঘরবাড়ি পুড়িয়েছিলেন, সম্পদ লুট করেছিলেন? নারীরা কেন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল?’ ‘সরকারের মদদ ছাড়া নাকি সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি হয় না। তাহলে ২০০১ সালের সমস্যার দায় কি বিএনপি স্বীকার করে নিচ্ছে?’ বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিএনপি নেতারা এসব বিষয়ে স্পষ্ট করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, গাজীপুরের মেয়র এবং গাজীপুর সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ আরও কিছু সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগ আগামী ১৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপিত হবে। এ ছাড়া সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি দলীয় আদর্শ এবং শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দেওয়া শোকজ নোটিশের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।