পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উজেলায় এবার ৭৩টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এ উপলক্ষ্যে উপজেলার মন্ডব গুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন প্রতিমাগুলোতে শেষ তুলির আঁচড় লাগাচ্ছেন শিল্পীরা। আবার কোথাও প্রতিমাগুলো রঙিন করার কাজে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক ও মহিষাসুরের প্রতিমা। মন্দির গুলোয় সাজসজ্জায়ও ব্যস্ত ডেকোরেটর শ্রমিকরা । আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় পূজায় উপজেলার লক্ষাধিক ভক্ত পুণ্যার্থী শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন। সরেজমিনে উপজেলার পাঁচবিবি পৌর শহরসহ উপজেলার ধরঞ্জী, বাগজানা, আয়মারসুলপুর, বালিঘাটা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমায় শেষ মুহুর্তের রংয়ের কাজ করছেন শিল্পীরা। উপজেলার সালুয়া পূজা মন্ডবে কথা হয় প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী (কারিগর) রাম বাবুর সাথে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবছর এভাবে বিভিন্ন মন্ডবে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। এক মাস আগে থেকে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এখন প্রতিমায় রঙের কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগে একটা প্রতিমা সেট তৈরি করতে খরচ হতো ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাঁশ, কাঠসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০হাজার টাকা। পাঁচবিবি পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এবার পাঁচবিবি উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পাঁচবিবি পৌর সভায় ১৫টি, বাগজানা ইউনিয়নে ৭, ধরঞ্জী ইউনিয়নে ১২, আয়মারসুলপুর ইউনিয়নে ৮টি, বালিঘাটা ইউনিয়নে ৯টি, আটাপুর ইউনিয়নে ৯টি, কুসুম্বা ইউনিয়নে ৮, আওলাই ইউনিয়নে ২ টি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ৩টি। এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু মন্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের রং-তুলির ছোঁয়া। উৎসবের প্রথম দিন দেবীর আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চতুর্থ দিন মহানবমী ও সন্ধিপূজা এবং শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দশমী বিহীত পূজা উদযাপিত হবে। মন্ডপে মন্ডপে ধুপ-কুশির মাধ্যমে প্রতিমা আরতি, অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চন্ডিপাঠসহ নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পূজা উদযাপন পরিষদ পাঁচবিবি উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু শুনিল রায় জানান, হিন্দু ধম্বালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূগা উৎসব উপলক্ষ্যে পূজা কমিটিও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। এবারই প্রথম উপজেলার তিনটি মন্দিরে মহিলার সভানেত্রীর নেতৃত্বে পূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব জানান, উপজেলার ১২টি পূজা মন্ডবকে ঝুকিপূণ হিসাবে দেখা হলেও সকল পূজা মন্ডবে উৎসব পালনে কোন বিঘœ না ঘটে সেটি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।