ঢাকা : ফোনালাপ ফাঁস ও ফোনে আড়িপাতা বন্ধের ঘটনার তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান-এর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ১০ আগস্ট আড়িপাতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয় আড়িপাতা প্রতিরোধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্তের।
রিটে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বিবাদী করা হয়।
আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) রিটে বিবাদী করা হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি ফোনে আড়ি পাতা বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এই ১০ আইনজীবী।
নোটিশে ফোনালাপে আড়ি পাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।