ঢাকা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পৃথিবীতে কোনো স্বৈরশাসক বা একনায়ক সরকার টিকে থাকতে পারেনি। জনতার উত্তাল রোষের মধ্যে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তখন আর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আওয়ামী সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে ‘করোনা হেল্প সেন্টারের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সেই অপরাধ থেকে যদি রক্ষা পেতে চান অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তার পছন্দের সরকার নির্বাচিত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ায় একমাত্র নেত্রী যিনি এই দেশে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে তিনি গৃহবন্দী হয়ে আছেন। মিথ্যা মামলায় তাকে বেআইনিভাবে সাজা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ইসহাক সরকারসহ সকল ছাত্রনেতা, যুবনেতার উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধায়নে নতুন করে বিএনপিকে সাজানো হচ্ছে, নতুন কমিটি করা হচ্ছে। এতে করে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তাদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে। তারা ভয় পেয়েছে, ভয়ে কাঁপছে। তাই তারা বিএনপির উপর আবার আক্রমণ শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার শুরু থেকে আমরা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ত্রাণ দিয়ে আসছি। কিন্তু যারা আজকে অস্ত্র দেখিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে জনগণের সমস্যা সমাধানে এই সরকারের কোনো আগ্রহ নাই।
তিনি বলেন, ‘একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন যার প্রতিটি কথা মিথ্যা। তারা করোনা মোকাবেলা করতে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু করোনা নয়, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে। এখন আপনারা কেউ খুব অসুস্থ হয়ে হঠাৎ ইমার্জেন্সিতে গেলে সেখানে কোনো চিকিৎসা পাবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলছে। এর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।