কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উপজেলার ঘড়িয়াল ইউনিয়নের গতিয়াসাম গ্রামে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনরোধে স্বেচ্ছাসেবিদের প্রচেষ্টায় আবারো কমিউনিটি ক্লিনিকের পশ্চিমে নতুন দুটি বাশেঁর বান্ডাল তিস্তা নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে।
গত শনিবার গতিয়াসাম গ্রামে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শণকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সহকারী প্রেসসচিব সরওয়ার ই আলম জীবন সরকার।
ভাঙন থেকে গ্রাম রক্ষার্থে দেশের অনেক জায়গায় নদীর তীরে বাশেঁর বান্ডাল নির্মাণ করে ভাঙনের হাত রেহাই পেয়েছে, একইভাবে তিস্তার তীরে ভাঙনরোধে একই বাশেঁর বান্ডাল নির্মাণ করবেন। তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে এলাকাবাসীকে সম্মিলিতভাবে পুণরায় আরও দুটি বাশেঁর বান্ডাল নির্মাণ করার আহবান রাখেন প্রেসসচিব ।সহকারী প্রেসসচিব বলেন, আমি পানিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয়কে আমাদের নদী ভাঙনের ছবি দেখাবো,বাশেঁর বান্ডালের কথা বলবো এবং এই মৌসুমে ভাঙনরোধে কাজ করতে বলবো,আমি চাই এই এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামাভরট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র গতিয়াসাম কমিউনিটি ক্লিনিক তিস্তা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেলে আপনারা হাতের কাছেই মৌলিক সেবা পাবেন।সহকারী প্রেসসচিবের আহবানে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন,আমি বান্ডাল নির্মাণ করার জন্য অর্থসহায়তাসহ সার্বক্ষণিক তদারকির রাখার আশ্বাস প্রদান করে বলেন,এর আগে বারোটি বান্ডাল নির্মাণে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম,এখন আছি,আমি চাই পানি উন্নয়নবোর্ড জরুরী ভিত্তিতে তিস্তায় ভাঙনরোধে কাজ করুক।
রবিবার সারাদিনব্যাপী দুইটা মেশিন কুড়িজন শ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবিদের সহযোগীতায় আবারো দুটি গতিয়াসাম কমিউনিটি ক্লিনিকের উজানে(পশ্চিম) বাশের বান্ডাল নির্মাণ করেন এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবিগণ।
সোমবার সরেজমিনে দেখাগেছে শ্রমিক, স্বেচ্ছাসেবি ও অর্থ সংকট থাকায় একটি বাশেঁর বান্ডালে ইউএনও,র হস্তান্তরকৃত বস্তায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।সোমবার দুপুর দুইঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জুয়েল ক্লিনিক পরিদর্শণ করেন।পরিদর্শণ শেষে গতিয়াসাম কমিউনিটি ক্লিনিকে থাকা ঔষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি,চেয়ার টেবিল,আলমারি, আসবাবপত্রসহ সবকিছু টিএইচও স্যারে নির্দেশ মোতাবেক সড়িয়ে নিয়েছি বলে জানান প্রোফাইটার মোঃ আলতাফ হোসেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্না তিস্তা নদীর ভাঙনের মুখে থাকা গতিয়াসাম কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শণ করেন।
তিনি বলেন,ক্লিনিকটি রক্ষার্থে কাজ করা জরুরী হয়েছে,আমি পানি উন্নয়নবোর্ডের সাথে কথা বলেছি, ক্লিনিকের কাছে তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে কাজ করতে। নিলাম করে কয়টাকা আসবে,অতএব পানি উন্নয়নবোর্ড তীর রক্ষায় কাজ করলে ক্লিনিক থেকে সেবা পাবে হাজারো মানুষ।
এবিষয়ে স্বেচ্ছাসেবি মন্তাজ উদ্দিন বলেন,ভাঙনরোধে পানি উন্নয়নবোর্ডের কাজ করার বিকল্প নেই,আমরা আজ অর্থের অভাবে পর্যাপ্ত শ্রমিক নিতে পারিনি,শ্রমিক কম হওয়া দুটো বান্ডাল নয় একটিতেই পর্যাপ্ত পরিমান জিওব্যাগ ফেতলে পারিনি,আবার বান্ডালের উজানে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে, তীর রক্ষায় পানি উন্নয়নবোর্ডের বিকল্প নেই, তীর রক্ষায় একমাত্র পানি উন্নয়নবোর্ড অল্পসময়ের মধ্যে জিওব্যাগ জিওটিউব ফেলতে পারবেন, আমরা এলাকাবাসী সহযোগীতা করবো।