বগুড়া পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম) বলেছেন, শিক্ষা প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যথাযথ বিকাশের জন্য শিক্ষকদের পরিকল্পিত পরিশ্রম অত্যন্ত জরুরী। করোনাকালীন সঙ্কটজনক বিশ্বপরিস্থিতি শিক্ষার সে কিছুটা পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেবার জন্য প্রয়োজনীয় অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে। শিক্ষকদের স্নেহ ও পরিচর্যা একটি শিশু নিজেকে আগামী দিনের জন্য সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরবার সুযোগ পাবে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হবে দেশ প্রেমিক ও দায়িত্বশীল একটি প্রজন্ম তৈরি করা।শিক্ষকরা আত্মবিশ্বাসী করে গড়েছেন বলেই আজ সফলতা এসছে ব্যক্তি জীবনে। প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রেরণা ও আদর্শের অংশ হয়ে উঠে। শিক্ষার্থীদের সমাজে রোল মডেল হিসেবে সুনাগরিক তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের চলমান শিক্ষা পদ্ধতির সাথে নিজেদের উন্নত করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। দেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। দেশ এখন সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। সকল বিশ্ব সংস্থার পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অনেকের চেয়ে এগিয়ে। উন্নয়নের মহাপ্রকল্প চলছে দেশে। দেশের উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশে বর্তমানে কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিস্তার ঘটছে। দেশ অনন্য অর্থনৈতিক ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সকলের অবদানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে গড়তে হবে। দেশপ্রেমে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। তাই এই শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই বীজ বপন করতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের আগামীর দায়বদ্ধতার জন্য আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের চেতনা ও প্রেরণা গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। শুধু পাঠ্যবই নয়, সঠিক সহ শিক্ষাও শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। একটি সুন্দর জিনিসের যেমন কারিগর থাকে, তেমনি একজন শিশু জন্মের পর শিশুকে তার বাবা মা লালনপালন করে কিন্ত একজন শিক্ষক সেই শিশু প্রকৃত মানুষ করে গড়ে থাকেন। একটি বৃক্ষের মত হলো প্রতিটি শিক্ষক, বৃক্ষের ছায়ার মত শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকের ছায়ায় নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। তাই একজন শিক্ষককে বৃক্ষের মত হয়ে উঠতে হবে। সকল শিক্ষককে উদার, মানবিক হয়ে কাজ করতে হবে। প্রকৃতির মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষক, তাই সকলকে প্রকৃতির প্রতি সম্মান জানানো দরকার। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দায়িত্বে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, শ্রেণি কক্ষকে ভালবাসায় ভরে তুলতে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। কারণ শিক্ষার্থীদের তীর্থভূমি হলো শ্রেণিকক্ষ। তাই প্রত্যক শিক্ষার্থীকে তার তীর্থভূমির প্রতি যথাযথ যত্ন করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানকে সেরা করে গড়ে তুলতে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। রোববার বেলা ১২টায় পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মতবিনিময় সভায় সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, আঞ্জুয়ারা খাতুন, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।