আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজার ২৯২ জন মারা গেছে। এ নিয়ে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ লাখ ৩১ হাজার ৭০৯ জন।
একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৯২৯ জন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৭৫ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ। এদের মধ্যে ৯৭ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৮ জনের।
করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষের। এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮০ জনের।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৭ জনের। তালিকায় ২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩১৩ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১৩ হাজার ৭২৭ জন। এদের মধ্যে ১৬১৯ জনের অবস্থা গুরুতর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে টিকাদান।
এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তুলে নেয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।