ঢাকা: দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির বেশির ভাগ সদস্য ও জেলার সভাপতিরা। সেই সাথে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করার কথা বলেন তারা।
পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের পক্ষেই মত দিয়েছেন এসব নেতা। তবে রাজপথে নামার আগে দলে শৃঙ্খলা ফেরানোর ওপরও জোর দিয়েছেন তারা। নেতারা বলেছেন যে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বর্তমান সরকারকে হটানো সম্ভব নয়। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিটে যাতে শৃঙ্খলা থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
বুধবার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সভাপতিদের সাথে বৈঠকে এসব আলোচনা উঠে আসে।
বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত পর্যন্ত গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের অফিসে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগের বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য ও জেলার সভাপতিদের সাথে এই মতবিনিময় সভা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সভার শুরুর পর শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সাহলে প্রিন্স। গতকালের সভায় মোট ১২৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় উল্লিখিত বিভাগের ৮৫ জন নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার সভাপতি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন আবদুল খালেক, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রফিক সিকদার, মঞ্জুরুল আহসান, জাহাঙ্গীর আলম, মমিনুল হক, এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা খান সফরী, মাহবুব ইসলাম মাহবুব, কাজী রফিক, শেখ মো: শামীম, খন্দকার মারুফ হোসেন, একরামুল হক বিপ্লব, সাবেরা সাবু, আলাউদ্দিন হেনা, জিয়াউদ্দিন, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, জিল্লুর রহমান, সিরাজুল হক, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সুলতান মাহমুদ বাবু, মাহমুদুল হক রুবেল, ইকবাল হোসেন, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, লায়লা বেগম, মশিউর রহমান, ডা: শাহাদাত হোসেন, শাহ আলম, আবু সুফিয়ান, ম্যা ম্যা চিং, মাহফুজল্লাহ ফরিদ, জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, আখতারুজ্জামান মিয়া, বিলকিস ইসলাম,
সাইফুর রহমান রানা, আমিনুল ইসলাম, মির্জা ফয়সাল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, হাসান রাজীব প্রধান, জহিরুল বাচ্চু, মো: শামসুজ্জামান সাবু, গফুর সরকার প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ।
শামসুজ্জামান মেহেদী, আরিফা জেসমিন, রাবেয়া আলী, অধ্যাপক ডা: মো: আনোয়ারুল হক, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মো: ইকবাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের শামীম, শাহ মোস্তফা, মজিবুর রহমান, হাসনা আক্তার সানু, গোলাম হায়দার, কাজী মফিজুর রহমান, ফোরকান-ই-আলম, সাচিং প্রু, জেরী, মামুনুর রশিদ মামুন, হুম্মাম কাদের, ডা: মাজহারুল ইসলাম, সুশীল বড়ুয়া, বজলুুল করিম চৌধুরী আবেদ
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অংশ নেবেন খুলনা বিভাগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ৩২ সদস্য, রাজশাহী বিভাগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ৩৫ সদস্য বরিশাল বিভাগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ২৭ সদস্য এবং জেলা সভাপতি (জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নয়) ১৪ জনসহ মোট ১০৮ জন। এর আগে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর দলের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও সম্পাদকমণ্ডলীর সাথে মতবিনিময় করেছেন তারেক রহমান।