ঢাকা : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট দেশে করোনায় মারা গেলেন ২৭ হাজার ৩১৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৩৭৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ২৮ হাজার ৭৩৬টি নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৪.৭৯ শতাংশ। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৭৩৬ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৩২ জনের।
করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৬৯ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ। এদের মধ্যে ৯৮ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩২ লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৭ জনের। করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের। এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮০১ জনের। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জনের।
তালিকায় ২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ২৭৭ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১৩ হাজার ৮১৪ জন। এদের মধ্যে ১৬২৭ জনের অবস্থা গুরুতর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে টিকাদান।
এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তুলে নেয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।