ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের চরখুকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ন, টয়লেট, শ্লীপ ফান্ড, ক্ষুদ্র মেরামত, টিআর-কাবিখা, মাইনর মেরাতম, উপবৃত্তি সহ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য রফিকুল ইসলাম কছের ও গোলাম রব্বানী এসব দূর্ণীতির অভিযোগ এনে ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোলাম রব্বানী বলেন, আমার বাবা জালাল উদ্দিন ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন জমিদাতা সদস্য ছিলেন। গত এক এক বছর আগে আমার বাবার মৃত্যু হয়। নিয়ম অনুযায়ি বাবার মৃত্যু পর ওই প্রতিষ্ঠানে ওয়ারিশ হিসেবে যে কোন এক ছেলে জমিদাতা সদস্য মনোনীত হবেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস সরকার ও সাবেক সহকারী শিক্ষক (অব:) বর্তমান সভাপতি ফজলার রহমান যোগসাজসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন কমিটি গঠনের পায়তারা করছে। এ জন্য তারা আমাকে জমিদাতা সদস্য থেকে বাদ বাহিরের লোককে সদস্য বানিয়ে উপজেলা পরিষদে কমিটি জমা দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়। গত দুই বছরে বিদ্যালয়ের টয়লেট, শ্লীপ ফান্ড, ক্ষুদ্র মেরামত, টিআর-কাবিখা, মাইনর মেরামত, উপবৃত্তি সহ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস সরকার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান। এছাড়াও বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মানের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে এর আগে অভিযোগ দেয়ায় তারা এতো দিনে এসে কাঁচা পাকা টয়লেট নির্মান করছেন। তাই এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে আমি ও আমার দাদা আরেক জমিদাতা সদস্য রফিকুল ইসলাম কছের বাদী হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, জমিদাতা সদস্য নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হওয়ায় তালিকা উপজেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। তারা জমিদাতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে এই বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে কোন ক্ষুদ্র মেরামতের কোন বরাদ্দ হয়নি। এছাড়া উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরকার প্রেরন করে থাকে। মূলত জমিদাতা সদস্য মনোনীত না হতে পেরে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে ধুনট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।